রাহুল গান্ধী থেকে হেমা মালিনী দ্বিতীয় দফা ভোটে ভাগ্য গণনা কোন কোন হেভিওয়েট প্রার্থীর?
রাত পোহালেই শুরু দ্বিতীয় দফার ভোট। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও ভোট দেবেন দেশ জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। ভাগ্য গনণা হবে একাধিক রাজনীতির একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের। তাঁর মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। রয়েছেন বিজেপির হেমা মালিনী থেকে ওম বিড়লার মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে দ্বিতীয় দফায় কারা কারা পরীক্ষা দেবেন!
শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে, কেরালার ২০টি আসন, কর্ণাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪টি, রাজস্থানের ১৩টি আসন, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের প্রতিটিতে আটটি আসন, মধ্যপ্রদেশের সাতটি এবং পাঁচটি আসনে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। আসাম, বিহারে, ছত্তিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গে তিনটি করে আসন এবং মণিপুর, ত্রিপুরা ও জম্মু ও কাশ্মীরে একটি করে আসনে নির্বাচন রয়েছে।
রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়েনাডের বিদায়ী সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন সিপিআইয়ের অ্যানি রাজা এবং বিজেপির কে সুরেন্দ্রন। ২০১৯ সালে রাহুল তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, সিপিআই-এর পি পি সুনিরকে সাত লাখেরও বেশি পরাজিত করেন।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুরের আশা চতুর্থবার তিরুবনন্তপুরম আসনে জয় পাবেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এবং সিপিআই-এর পান্নিয়ান রবীন্দ্রনের।
হেমা মালিনী, ২০১৪ সাল থেকে মথুরার সাংসদ। এই ভোটে তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী মুকেশ ধানগার। কোটা থেকে বিজেপির দু-বারের সাংসদ ওম বিড়লা লড়ছেন কংগ্রেসের প্রহ্লাদ গুঞ্জালের বিরুদ্ধে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেখাওয়াতের লক্ষ্য যোধপুরে তৃতীয়বারের জন্য জয় নিশ্চিত করা। তবে সেখানে কাটা হতে পারে কংগ্রেস প্রার্থী করণ সিং উচিয়ারদা।
ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতি এবং বেঙ্গালুরু দক্ষিণে বিদায়ী সাংসদ তেজস্বী সূর্্যের লড়াই কংগ্রেসের সৌম্য রেড্ডির সঙ্গে।
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি রাজনন্দগাঁও কেন্দ্রে এই বারে কংগ্রেসের প্রার্থী ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এই আসনে বিজেপির প্রার্থী সন্তোষ পান্ডে।
মিরাটের তিনবারের সাংসদ রাজেন্দ্র আগরওয়ালের পরিবর্তে এই ভোটে সেই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে রামায়ণ সিরিয়ল খ্যাত অভিনেতা অরুণ গোভিল। নিজের প্রথম নির্বাচনে পর্দার রামের লড়াই বিএসপি-র দেবব্রত কুমার ত্যাগী এবং এসপি-এর সুনিতা ভার্মার বিরুদ্ধে।
মধ্যপ্রদেশে, বিজেপি নেতা বীরেন্দ্র কুমার খটিকের টিকমগড় থেকে চতুর্থবার জয়ের রথ থামাতে কংগ্রেসে অস্ত্র পঙ্কজ আহিরওয়ার।
কেরালার আলাপ্পুঝা আসনে জয় যেন কংগ্রেসের কাছে সম্মানের প্রশ্ন। কংগ্রেসের হয়ে এখানে প্রার্থী অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (AICC) সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল। কেরালার একমাত্র এই আসনে ২০১৯ সালে সিপিয়আইএম-এর নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট জয় পেয়েছিল। তাই হারানো আসন ফিরে পেতেই ২০১৪ সালের পরে আবার ভোটের ময়দানে ফিরেছেন ভেনুপোপাল। এর আগে তিনি ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৬ সালে পরপর তিনবার আলাপ্পুঝা বিধানসভা আসনে জয়ী হন এবং ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আলাপুঝা থেকে লোকসভা ভোটে জিতে দিল্লি গিয়েছিলেন।
অভিনেতা-রাজনীতিবিদ সুরেশ গোপীও ত্রিশুর থেকে কংগ্রেসের কে মুরালীধরন এবং সিপিআই(এম)-এর ভিএস সুনীল কুমারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রয়েছেন৷
পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটের বর্তমান বিজেপির বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসের বিপ্লব মিত্র এবং আরএসপির জয়দেব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।