‘অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে সেনার দপ্তর তৈরির কাজ’ আসাম সরকারকে তোপ পরিবেশ মন্ত্রকের

0 51

হাইলাকান্দি জেলার স্ংরক্ষিত বনভূমিতে আসাম সরকারের কমান্ডো ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর তৈরির কাজে স্থগিতাদেশ জারি করল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

গত বছর ২৫ ডিসেম্বর ‘নর্থইস্ট নাও’-সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই প্রকল্পের আইনি প্রয়োজনীয়তাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)বিষয়টিকে বিবেচনার পরে এই নির্দেশ দিয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রক এই কাজের বিশালতা এবং ব্যাপ্তি পরিদর্শন করে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সদর দপ্তরটি ৩০ হাজার বর্গ মিটারের প্লিন্থ এলাকা সহ ১১ হেক্টরের বেশি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। ১৯৮০ বন সংক্ষণ আইন অনুযায়ী বনভূমিকে বন বহির্ভূত উদ্দেশ্যে রূপান্তর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রকের দাবি আসাম সরকার সেই অনুমতি না নিয়ে আইন অমান্য করেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ের নোটিসে সেই কথার উল্লেখ্য করে অবিলম্বে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমমকি সেই চিঠিতে চিঠিতে বন সংরক্ষণ আইনের অধীনে ক্রমাগত নির্মাণের জন্য জরিমানার কথাও বলা হয়েছে।  

‘নর্থইস্ট নাও’ সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে, এনজিটি আসামের তৎকালীন পিসিসিএফ এম কে যাদব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের মহাপরিদর্শক, আসাম বন বিভাগের প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন এবং জেলা কমিশনারকে নোটিশ জারি করে তাদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, আসাম মন্ত্রিসভা ২০২২ সালের জুলাই মাসে হাইলাকান্দি জেলার ইনার লাইন রিজার্ভ ফরেস্টের জন্য নির্ধারিত একটি ইউনিট সহ রাজ্য জুড়ে ছয়টি কমান্ডো ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নির্বাচিত এলাকার সুরক্ষিত মর্যাদা থাকা সত্ত্বেও হাইলাকান্দির ডিএফও তৎকালীন পিসিসিএফ এম কে যাদবের কথিত সমর্থনে, প্রকল্পের জন্য ৪৪ হেক্টর বনভূমি হস্তান্তরের অনুমতি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।  

Leave A Reply

Your email address will not be published.