ভেঙে পড়া বহুতলই শুধু নয়। গার্ডেনরিচজুড়ে আরও একাধিক বহুতল বিপজ্জনক অবস্থায়। বেআইনি আবাসনগুলি যেন মৃত্যু ফাঁদ? তেমনই একটি বহুতলে বিপজ্জনক লেখা বোর্ড লাগানো আবাসনের আবাসিকের অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বহুতল নির্মাণের প্রোমোটারের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্রশাসন, বিস্ফোরক দাবি আবাসিকের।
গার্ডেনরিচের বিপজ্জনক বহুতলের এক আবাসিক। যে বহুতলটি বিপজ্জনক বলে বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। সেই আবাসনেরই এই ব্যক্তি বিস্ফোরক দাবি করছেন।
গার্ডেনরিচ জুড়ে এমন মৃত্যুফাঁদ একাধিক। এক বহুতলে ঠেকে পাশের বহুতল। হেলে পড়া বহুতলটি কখন যে ভেঙে পড়বে, আতঙ্কে এলাকাবাসী।
গার্ডেনরিচজুড়ে যেন বিপজ্জনক বহুতলের রমরমা। বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভেঙে পড়ার পর রবিবার রাত থেকে আতঙ্কে এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১৩৪নং ওয়ার্ডের একটি বহুতলে নোটিস সাঁটিয়ে দিয়েছে পুরসভা। কারণ এই বহুতলটিও বিপজ্জনক অবস্থায়। তাই আবাসিকদের ওই বহুতল থেকে সরতে নোটিস দিয়েছে পুরসভা।
এই বহুতলের পাশের অংশ দেখলেই বোঝা যায় কতটা ঘিঞ্জি অবস্থা গার্ডেনরিচের বাবুপল্লির পাড়াতে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা থেকে ঢিলছুড়া দূরত্বে এই বহুতলগুলির প্রোমোটারও মহম্মদ ওয়াসিম। যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামস ইকবালের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসকদল। এরমধ্যেই কলকাতার মেয়র জানিয়েছেন গার্ডেনরিচের ২ হেলে থাকা বহুতল ভেঙে ফেলা হবে।
ফিরহাদ হাকিমরে ইস্তফার দাবিতে সরব কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
গার্ডেনরিচে ভেঙ্গে পড়া বহুতলের আশপাশে এই ধরনের ছ’টি বাড়িকে বেআইনি হিসেবে নোটিস ইস্যু করেছে পুরকর্তারা। তার মধ্যে দু’টি বাড়ি দ্রুত ভাঙা হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল দিনের পর দিন এতগুলো বহুতল গড়ে উঠল বেআইনিভাবে, জানতেন না স্থানীয় কাউন্সিলর। খবর ছিল না মেয়রের কাছে?