তাঁর একমাত্র নেশা বই কেনা ও পড়া। আর সেই নেশায় বইমেলা থেকে কিনে ফেললেন ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার বই। বিশ্বাস হচ্ছে না তো ? পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফে কিন্তু এমনটাই জানানো হয়েছে। অবশ্যই জানতে ইচ্ছে করছে তিনি কে।
তিনি চাকদহের বাসিন্দা দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছোটোবেলা থেকেই তিনি বই পড়তে বড্ড ভালোবাসেন। ছোটোবেলায় বাবার সাথে বইমেলায় গিয়ে যেন এক আলাদায় সাম্রাজ্য খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে তাঁর একটাই নেশা। বই কেনা ও পড়া। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ১৪ হাজার বই। ভাবা যায়! এবার কলকাতা বইমেলা থেকে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার বই কিনে নজির গড়ে ফেললেন দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়। জানাচ্ছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডে। তবে শুধু এবছর নয় প্রতিবছরই তিনি প্রায় ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার বই কিনেই থাকেন।
পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। প্রাইভেট টিউশন পড়ান তিনি। প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ান তিনি। তাঁর সগ্রহে থাকা ১৪ হাজার বই এক জীবনে পড়ে শেষ করা কি সম্ভব ?
তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বর্তমান প্রজন্মের বেশীরভাগ অংশই ইন্টারনেটের প্রতি আশক্ত। ফলে বই পড়তে কজন ভালোবাসেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আবার অনেকে রয়েছেন যারা অনলাইনে বই পড়তে ভালোবাসেন। তবে যাই বলুন না কেন , হাতে বই নিয়ে পড়ার একটা আলাদাই মজা রয়েছে। বইয়ের পাতার সেই গন্ধ, পড়তে পড়তে কাল্পনিকভাবে গোটা ছবিটা এঁকে ফেলা, এসব স্বাদের তো কোনোও বিকল্প নেই , তাই না ? দেবব্রত বাবুরও মত কিন্তু এমনটাই।
বই হল আমাদের প্রকৃত বন্ধু। জ্ঞান প্রসার ও মৌলিক গঠনে বইয়ের বিকল্প আর কিছুই নেই। তাই বই পড়ুন ও অন্যকেও পড়ান। অন্যদের বই উপহার দিন। বললেন দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়।
আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের বাড়ন্ত এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাবা বসাচ্ছে মানব মস্তিষ্কে, ঠিক তখন বই পাগল দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো মানুষরা বিরল বলেই ভূষিত হন। তাঁর এই অনুপ্রেরণা আরও অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠুক সেটাই চান দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়।