ফের চর্চায় এক দেশ, এক ভোট। তাহলে কি মার্চ-এপ্রিলে একসঙ্গে লোকসভা ও রাজ্যগুলির বিধানসভা ভোট? না কি প্রস্ততি এগিয়ে রাখতে কেন্দ্রের তৈরি কমিটির বৈঠক? এক দেশ, এক ভোট কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন তৃণমূলের ২ সাংসদ প্রতিনিধি। দিল্লিতে যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একদেশ একভোট হল লোকসভা ও সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করা। ফলে একইসঙ্গে সাধারণ মানুষ রাজ্যে ও কেন্দ্রে সরকার বেছে নিতে পারবে। এনিয়ে ২০১৪ সাল থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশনের দাবি তোলা হচ্ছে। কিন্তু এনিয়ে বিরোধীদের আপত্তিতে তা পিছিয়ে যায়। ফের ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এক দেশ, এক ভোট কমিটির বৈঠক ঘিরে জল্পনা।
এক দেশ, এক ভোট নিয়ে কমিটি তৈরি করে কেন্দ্র। ৮ সদস্যের কমিটিতে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই। চেয়ারম্যান পদে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কমিটিতে আছেন অমিত শাহ, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গুলাম নবী আজাদ, আইনজীবী হরিশ সালভে। আছেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব সুভাষ সি কাশ্যপ।
এই কমিটির ডাকেই মঙ্গলবার দিল্লিতে বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের ২ সাংসদ প্রতিনিধি। রাজ্য বাজেট থাকার কারণে যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, বিরোধীরা কি এক দেশ, এক ভোটের পক্ষে মত দেবেন?
এক দেশ এক ভোট লাগু করতে গেলে প্রয়োজন পড়বে দেশের সংবিধান সংশোধনের। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ২২তম ল’কমিশন এক দেশ এক ভোট নিয়ে মতামত নেয়। রাজনৈতিক দল, জাতীয় নির্বাচন কমিশন, আমলা, অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞদের থেকে মতামত সংগ্রহ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে আইন কমিশন। সেই রিপোর্ট নিয়েই এবার বৈঠকে কেন্দ্রের তৈরি কমিটি। এক দেশ, এক ভোট কি তাহলে দ্রুত লাগু করাতে চায় কেন্দ্র? তবে কি ২০২৪-এই লোকসভা ও বিধানসভা একসঙ্গে ভোট? না হলে এই নিয়ম ফের কার্যকর হবে ২০২৯ সালে।