নিউজ ডেস্ক, ২৬ ডিসেম্বর : লোকসভা ভোটের জন্য ভিতরে ভিতরে আগেই প্রস্তুত হতে শুরু করেছিল পদ্ম শিবির। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে দিলেন সেই প্রস্তুতি। বাংলায় বিজেপির নজরে ৩৫ আসন। লোকসভা ভোটের জন্য নয়া নির্বাচনী কোর কমিটি গড়ে দিলেন শাহ-নাড্ডা। কমিটিতে সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপ, লকেট, অমিতাভ চক্রবর্তী। জায়গা পেলেন না চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাদ পড়ে গেলেন নিশীথ, জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার।
২০২৪-এর ভোটে বঙ্গ বিজেপির রাশ নিজের হাতেই রাখলেন শাহ। গড়লেন নয়া কমিটি। রাখলেন না বাংলার ৪ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। টিকিট জল্পনা বঙ্গ বিজেপিতে। শাহি সফরে স্পষ্ট হল বাংলা থেকে শাহের টার্গেট ৩৫। ছিল ১৮, করতে হবে ৩৫। বঙ্গ সফরে টার্গেট ফিক্সড শাহের
কলকাতায় অমিত শাহ সফরে টানটান কর্মসূচির ফাঁকেই বঙ্গ বিজেপিকে পাখির চোখ দেখিয়ে দিয়ে গেলেন চাণক্য। তাই নাড্ডার তৈরি কোর কমিটি নয়, নতুন নির্বাচনী কমিটি তৈরি করে দিলেন শাহ।
১৫ জনের নয়া কোর কমিটি গঠন করেন শাহ, নাড্ডা। বাংলার ১০ নেতা ও কেন্দ্রীয় বিজেপির ৫ নেতাকে দায়িত্ব
কমিটিতে শুভেন্দু, সুকান্ত, লকেট, দিলীপ, রাহুল, অগ্নিমিত্রা থাকছেন অমিতাভ চক্রবর্তী, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও দীপক বর্মনও।
২১-এর আগে পরে ঠিক যেভাবে কৈলাস বিজয় বর্গীয়কে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয় ঠিক তেমনই পঞ্চায়েতের পর আসন্তোষ তৈরি হয় রাজ্য বিজেপির সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে নিয়ে। দফতরের সামনে বিক্ষোভও দেখান কর্মীরা। হাজারও বিতর্কের মধ্যেও সেই অমিতাভকে রাখা হল নয়া কোর কমিটিতে। পাশাপাশি, রাজ্য নেতৃত্বের কাজে নজর রাখতে কেন্দ্রীয় বিজেপির চোখ-কান হিসেবে নয়া কমিটিতে রাখা হল দিল্লির তরফে সতীশ ধন্দ, আশা লকড়া, অমিত মালবীয়া, মঙ্গল পাণ্ডেকে।
কিন্তু চাঞ্চল্যকর বিষয় হল নয়া কমিটিতে জায়গা পেলেন না ৪ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা, শান্তুনু ও নিশীথ, সুভাষ। কিন্তু কেন? বিজেপিতে গুঞ্জন এবার টিকিট বন্টনে নজর স্বয়ং সেনাপতি মোদীর। নমো অ্যাপের মাধ্যমে জনমানসে যাচাই হচ্ছে ২০১৯-এর জেতা বিজেপি সাংসদদের গ্রহণযোগ্যতা কতটা। সেই হিসেবে শোনা যাচ্ছে বাংলার কয়েকজন সাংসদ টিকিট নাও পেতে পারেন। তারা কি কোর কমিটিতে জায়গা না পাওয়া ব্যক্তিরা? সূত্রের খবর, ১৪-১৫ জন মহিলা প্রার্থী দিতে পারে বিজেপি।
সুকান্ত, শুভেন্দু, অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দকে নিয়ে বিশেষ বৈঠকে নয়া কোর কমিটির সিদ্ধান্ত নেন শাহ। ৪২ আসন থেকেই পৃথক ৪২টি রিপোর্ট চেয়েছেন শাহ। খবর সূত্রের। শাহি সফরে দলীয় বৈঠকের বাইরে শাহ গেলেন গুরদ্বার ও কালীঘাট মন্দিরে। আর আগে ব্রিগেডে বিজেপির লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। বিজেপির কর্মসূচিতে কোথাও কি স্পষ্ট ইঙ্গিত লোকসভার প্রচারের ব্যনার লিখন?