নিউজ ডেস্ক, ২৪ ডিসেম্বর : ২০২৩-এর টেট। চ্যালেঞ্জ ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে। নির্বিঘ্নেই সমাপ্ত হল চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পরীক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পৌঁছলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। রাস্তায় ছিল পর্যাপ্ত বাস। প্রস্তুত ছিল ওয়ার রুম। আর নির্বিঘ্নেই হল টেট পরীক্ষা।
তবে পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, টেট চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। মিল রয়েছে দুই প্রশ্নপত্রে। অর্থাৎ পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ভাইরাল প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা এই অভিযোগ তোলেন। এরপরই পর্ষদ সভাপতি দুই প্রশ্নপত্রে মিল রয়েছে বলে স্বীকার করে নেন। যা ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আজ কড়া নিরাপত্তায় পরীক্ষার্থীরা প্রবেশ করলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। টেটের জন্য উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গে চলল বাড়তি বাস। অতিরিক্ত মেট্রোও চালানো হয়। সরকারি পরিষেবায় খুশি পরীক্ষার্থীরা।
কেউ প্রথমবার চাকরির পরীক্ষায়। কারও প্রাথমিকের টেট দ্বিতীয়বার। তাঁদের আশা যোগ্যরা চাকরি হবে। দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকেন পরীক্ষার্থীরা। দু’দফায় নিরাপত্তা চেকিং করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়। প্রথম দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি হয়। দ্বিতীয় দফায় ফ্রিস্কিং করা হয় পরীক্ষার্থীদের।
এ বছর ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন টেট দিচ্ছেন। মোট পরীক্ষা কেন্দ্র ৭৭৩টি। কলকাতা শহরে পরীক্ষা কেন্দ্র ৫টি। এরমধ্যে উত্তর কলকাতায় ৩টি, দক্ষিণ কলকাতায় ২টি। ৩ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কলকাতায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২ হাজার ২০০ জন। সমতলে সবচেয়ে কম পরীক্ষার্থী শহর কলকাতায়।
এদিন সদ্যোজাতকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে পরীক্ষার্থীকে। সকাল থেকে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আশা-আকাঙ্খার ছবিটাও ধরা পড়ল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।