নিউজ ডেস্ক, ২ অক্টোবর : পুজোর আগে যেন অসুর রূপে দেখা দিয়েছে অতি বৃষ্টি। ঝাড়খণ্ডে টানা বৃষ্টিতে মাইথন, পাঞ্চেত ও দুর্গাপুর ড্যাম সহ একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে বঙ্গের ৭ জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা নবান্নের। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকে প্রচারের নির্দেশ নবান্নের। ৫ ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট দিতে নির্দেশ ৭ জেলার প্রশাসনকে।
পুজোর আগের বন্যার ভ্রুকুটি। ঝাড়খণ্ডে টানা বৃষ্টির জেরে দুশ্চিন্তায় নবান্ন। ৭ জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা। বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাইথনের ৫টি গেট থেকে ৪৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত ড্যাম থেকে ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। দুর্গাপুর বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৯৬ হাজার কিউসেক। মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। বীরভূমের তিলপাড়া জলাধার থেকে ৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়।
উদ্বিগ্ন পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি বৈঠক করে রাজ্য প্রশাসন। ৭ জেলায় বন্যার আশঙ্কা করে একটি প্রেস বার্তা দিয়েছে নবান্ন। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান। পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়ায় বন্যার শঙ্কা। বন্যার আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন।
মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন ৭ জেলার জেলাশাসক। পরিস্থিতি বিচারে নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ, শীঘ্রই অপেক্ষাকৃত নিচু এবং বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে লাগাতার মাইকে প্রচার চালাতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরানোরও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
বুধবার রাজ্যের প্রায় সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। তবে প্রশাসন চিন্তিত ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে।