নিউজ ডেস্ক, ১৬ সেপ্টেম্বর : সোমবার বিশ্বকর্মায় মেতে উঠবে গোটা রাজ্য। অপেক্ষা আর মাত্র একদিনের। সাজো সাজো রব চারিদিকে। ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎ শিল্পীদের মধ্যেও। প্রস্তুতিতে চলছে শেষ তুলির টান। কুমোরটুলির অলিতে গলিতে প্রতিমার চূড়ান্ত রূপদানে চলছে ব্যস্ততা। পুজোর গন্ধ লেগেছে আকাশে-বাতাসে। এই দেবতার হাত ধরেই যেন দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। আনন্দে মেতে উঠে গোটা দেশ।
প্রায় প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। তবে এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার। বলা হয়েছে, দৃক সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে চারটি শুভ যোগ রয়েছে। এই বিশেষ উপলক্ষ্যে ব্রহ্ম যোগ, দ্বিপুষ্কর যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ এবং সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ সবই তৈরি হচ্ছে।
হিন্দুধর্মে বিশ্বকর্মা পুজোর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বকর্মা দেবতাকে বলা হয় দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার। পুরাণ মতে, পুরীর জগন্নাথ দেবের মূর্তিও তৈরি করেছেন তিনি। স্বয়ম্ভূ এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসেবে মনে করা হয় তাঁকে। বলা হয়, কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা।