নিউজ ডেস্ক, ১৪ সেপ্টেম্বর : আজ কৌশিকী অমাবস্যা। তারাপীঠে তারা মায়ের বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ভোরবেলা মঙ্গলারতি দিয়ে পুজোর সূচনা হয়। কৌশিকী অমাবস্যায় সেজে উঠেছে মন্দির নগরী তারাপীঠ। কোশিকী অমাবস্যা়র দিনই তারাপীঠে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামদেব। পুণ্যালাভের আশায় অগণিত ভক্ত সমাগম মন্দির নগরী তারাপীঠে।
বীরভূম জেলার রামপুরহাটে এই মহাতীর্থ তারাপীঠ। তারাপীঠের মহাশ্মশানে প্রখ্যাত সাধকেরা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাই সিদ্ধপীঠ নামেই পরিচিত এই তারাপীঠ। পুরাণ মতে এই তারাপীঠে সতীর চোখের মণি বা তারা পড়েছিল। কথিত আছে মা তারার স্বপ্নাদেশ পেয়ে বনিক জয় দত্ত মহাশ্মশানে মা তারার প্রথম মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা করেন। দ্বারকা নদীর বন্যার জলে বার বার সেই মন্দির ভেঙে যেত। ১৮১৮ সালে নতুন মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা করেন বীরভূমের মল্লারপুরের জমিদার জগন্নাথ রায়। তারাপীঠ মন্দিরের সঙ্গে মিশে রয়েছে সাধক বামদেব ও মা তারার নানান অলৌকিক কাহিনী। তারাপীঠ মহাশ্মশানেই মা তারার সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন সাধক বামদেব।
এছাড়াও কথিত আছে এই বিশেষ তিথিতে দেবী দুর্গা শম্ভু নিশম্ভুকে কৌশিকী রূপে বধ করেছিলেন। সেই প্রাচীন কাল থেকে আজও কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠে দিনভর চলে পুজো অর্চনা।
রীতি অনুযায়ী, তারা মাকে দেওয়া হয় পাঁচ রকমের ফল, ফুল, মিষ্টির ভোগ। তারপরেই শুরু সারারাত জেগে পুজো ও তন্ত্রসাধনা। প্রথা অনুসারে দুপুরের ভোগে থাকে শোল মাছ পোড়া। সঙ্গে থাকে অন্ন, পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, মিষ্টি, শাক, পায়েস ইত্যাদি। পুজো উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্ত্বরকে।
অমাবস্যার তিথির নিশিরাতে তারাপীঠের মহাশ্মশানে জ্বলে ওঠে হাজারে হাজারে হোমকুণ্ড। এই বিশেষ দিনে মনস্কামনা পুরনের আশায় মা তারার পুজো দিতে লক্ষ লক্ষ পুর্ন্যার্থির আগমন ঘটে।
তারাপীঠে মা তারার দর্শন করতে গেলে ‘সাধক বামাক্ষ্যাপার’ জন্মভিটে দর্শন করেন ভক্তরা।