নিউজ ডেস্ক, ২০ নভেম্বর : ২১ ও ২২ শে নভেম্বর, মঙ্গল-বুধে বসতে চলেছে সপ্তম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। রাজ্যে লগ্নি টানতেই এই সম্মেলন হয় বছর বছর। সরকারের দাবি, আসছে লগ্নি, হচ্ছে বিনিয়োগ, বাড়ছে কর্মসংস্থান। বিরোধীরা বলে, সম্মেলনের আয়োজনে যা খরচ হয়, আসে না সেই টাকারও বিনিয়োগ। বিতর্কের মাঝেই বসতে চলেছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন।
মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হচ্ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। চলবে বুধবার পর্যন্ত। সম্মেলনে আসছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার, প্রতিনিধিরা। লগ্নি টানতে সম্প্রতি স্পেন, দুবাইয়েও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে শিল্প আনতেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন। গতবছর এসেছিল ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব। সরকারের দাবি, ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ হয়েছে তার ৫০.০১ শতাংশ অর্থ। অন্যান্যবারের সাফল্যকে এবার ছাপিয়ে যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এনিয়ে বিতর্কও আছে বঙ্গ রাজনীতিতে। ২০২২ সালে যখন সম্মেলন হয়, তখনও এরাজ্যের রাজভবনে ছিলেন জগদীপ ধনকর। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিগত শিল্প সম্মেলনগুলিতে কত খরচ হয়েছে সরকারের? বিনিময়ে এসেছে কত টাকার বিনিয়োগ? তিনি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন নবান্নে। এবারও শিল্প সম্মেলনকে নিশানা করে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। বলেছেন, আমজনতার টাকায় দু’দিনের মোচ্ছব শুরু হতে চলেছে। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বাণিজ্যও হয় না, আর তা বিশ্ব থেকে অনেক দূরে। বঙ্গবাসীকে বোকা বানানো হচ্ছে। শিল্প সম্মেলন নিয়ে বরাবরই বিরোধীদের নিশানায় তৃণমূলের সরকার। জবাব ফিরিয়ে দেয় তৃণমূলও।
বিরোধীদের কটাক্ষ, বিরোধিতায় নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে ব্র্যান্ড বেঙ্গল। লোকসভা ভোটের আগে ব্র্যান্ড বেঙ্গলকে তুলে ধরাই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০১৫ সালে তিনি শুরু করেছিলেন এই শিল্প সম্মেলন। করোনাকালের দুবছর বাদ দিয়ে এবার সপ্তম। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও। এবার কত টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব আসে, কত লগ্নি হয়, নজর সেদিকেই।