২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সমারোহে পালিত হল সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। গুরুত্ব দেওয়া হল নারীশক্তিকে। গুরুত্ব দেওয়া হল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্রকেও। প্যারেডে জায়গা পেয়েছে রামলালাও।
সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথে প্যারেড। জাতীয় পতাকা উন্মোচন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে একসঙ্গে কর্তব্যপথে আসেন দুদেশের রাষ্ট্রপতি। আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কর্তব্যপথের প্যারেডে অংশগ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী যান ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে। শ্রদ্ধা জানান দেশের জন্য উৎসর্গীকৃত সেনাদের। ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বিশেষ প্রাধান্য পেল নারীশক্তি।
‘চন্দ্রযান-৩ -এর ট্যাবলো নিয়ে কর্তব্য পথে এলেন ৮ মহিলা বিজ্ঞানী। ট্যাবলোয় তাঁদের কম্পিউটারে কর্মরত অবস্থায় দেখা যায়। তবে, শুধু এই ৮ জনই নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ আমন্ত্রণে দর্শক আসনে উপস্থিত ছিলেন ইসরোর আরও ২২০ জন মহিলা বিজ্ঞানী।
সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে হয় ভারতীয় বায়ুসেনার ফ্লাইপাস্টও। সামিল করা হয় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান ও সি-২৯৫ ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট।
উট নিয়ে প্যারেডে অংশ নেয় বিএসএফ বাহিনী। কর্তব্যপথের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সব থেকে পুরনো রেজিমেন্ট মাদ্রাজ রেজিমেন্টও। প্যারেডে অংশ নিলেন পরমবীর চক্র ও অশোক চক্রের বিজেতারাও।
দিন কয়েক আগেই অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে রামলালা মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। এদিনের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে উত্তর প্রদেশের ট্যাবলোয় স্থান পেল রামলালা।
ছত্তীসগঢ়ের ট্যাবলোয় তুলে ধরা হয় আদিবাসীদের ঐতিহ্য। ওড়িশার ট্যাবলোয় ছিল হস্তশিল্প ও তাঁতশিল্পের প্রদর্শনী। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষে কর্তব্যপথ ছেড়ে বেরিয়ে যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তবে বেরোনোর পথে প্রোটোকল ভেঙে সকলকে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী।