হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উপরেই গৃহবধূর পেটে চাকু। বুধবার ভরদুপুরে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়াল হাওড়া স্টেশনে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত আঁততায়ীকে। ঘটনার পর থেকে অবশ্য খোঁজ মিলছে না নিহত মহিলার স্বামীর।
জানা গিয়েছে নিহত মহিলার নাম রিভু বিশ্বাস। তাঁর স্বামীর নাম পিন্টু বিশ্বাস। দুই সন্তানকে সঙ্গে করে বুধবার মুম্বাইবাসী বালেশ্বরকে মুম্বই-এর ট্রেনে তুলে দিতে এসেছিলেন রিভু এবং তাঁর স্বামী। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে বালেশ্বর অসুস্থবোধ করে এবং পিন্টুকে ওষুধ আনতে পাঠায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি এরপরই প্ল্যাটফর্মে থাকা রিভুর পেটে সরাসরি ছুরি ঢুকিয়ে দেয় বালেশ্বর।
হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড হাওড়া স্টেশনে। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও উপচে পড়া ভিড় হাওড়া স্টেশনে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মুম্বই যাওয়ার জন্য গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস ধরতে অনেকেই পৌঁছে গিয়েছেন হাওড়ার নিউ কমপ্লেক্সের ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। বালেশ্বর যাদব নামে মুম্বইয়ের এক বাসিন্দাকে ট্রেনে তুলে দিতে ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলেন পিন্টু বিশ্বাস ও রিভু বিশ্বাস নামে এক দম্পতি। সঙ্গে ছিল তাঁদের দুই নাবালক সন্তান। সে সময় পিন্টুকে ওষুধ কিনতে পাঠান বালেশ্বর। পিন্টু চলে যেতেই তার স্ত্রী রিভুর পেটে ছুরি চালিয়ে দেয় বালেশ্বর।
পিন্টু ও তার স্ত্রী মুম্বইয়ের এক হোটেলে কাজ করত। সেখানেই তাদের সঙ্গে বালেশ্বরের পরিচয়। অভিযুক্তের দাবি, রিভু তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে কারণে তিনি রিভুকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেই টাকা শোধ করতে এবং তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে রিভু। রিভুকে ছুরি মেরে পালানোর চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে যায় বালেশ্বর।
গুরুতর জখম রিভুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরই খোঁজ মিলছে না মৃত রিভুর স্বামী পিন্টুর। ঘটনার তদন্ত করছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।